Archive for 2013
পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল, এখন ছুটির পালা...
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৩
লিখেছেনঃ Rabiul Islam
Tag :
ছুটি
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। |
আলহামদুলিল্লাহ। যতটা ধারণা করেছি তার চেয়ে ভালোই হয়েছে পরীক্ষাটা। একদম পানির মত সহজ। তারপর আবার আমার সামনে পিছনে আমাদের বর্ষের তালিবুল ইলমরাও ছিল! সুতরাং না পারার কোন কারণ নেই।
দুপুরে যোহরের নামাজের পর ছুটি হতে পারে, এবার অবশ্য ছুটি একটু কম হবে। কারণ পনেরো দিন পর তো বাংলাদেশে নতুন করে গণ্ডগোল হতে পারে। তাই ছুটি দুই দিন কমিয়ে তের দিন দেয়া হয়েছে।
আগামিকাল মাদরাসার হাফলাহ অনুষ্ঠিত হবে। আমি যথারীতি বিতর্কে অবস্থান করছি। আজ মাগরিবের পর থেকে কোন পড়া হল না! বিতর্কের যুক্তি-তর্ক নিয়েই রাত এগারোটা পর্যন্ত কাটিয়ে দিলাম মাদরাসায়। রাতে অবশ্য মাদরাসায়ই খেয়েছি। আলুভাজি ,ডাল আর ভাত। খুব ভালো লেগেছে !
বাসায় ফ্রিজের ভিতর মিষ্টি ছিল। মাফি ভাইয়া এনেছে। একটা মিষ্টি খেয়েই কম্পুর সামনে বসে গেলাম।
বাসায় ফ্রিজের ভিতর মিষ্টি ছিল। মাফি ভাইয়া এনেছে। একটা মিষ্টি খেয়েই কম্পুর সামনে বসে গেলাম।
সুতরাং অনাবাসিক সকল ছাত্রদেরকে সকাল আটটার আগেই মাদরাসায় যেতে হবে বাধ্যতামূলক ভাবেই। এমনকি রাতে এশার পরও থাকতে হতে পারে!
এখন যেতে হবে, তাই বেশি লিখতে পারলামনা।
আস সালামু আলাইকুম ।
অনেক দিন পর আবার লিখতে বসলাম। আসলে ব্লগটির নাম "রোজনামচা" না রেখে "সপ্তাহনামচা" বা "মাসনামচা" রাখলে ভালো হত। তখন নাম হত " রবিউল ইসলামের সপ্তাহনামচা / মাসনামচায় আপনাকে স্বাগতম" ! ;)
এখন রাত সাড়ে বারোটা বাজে, এত রাত পর্যন্ত জেগে থাকার কোন মানে হয় না। কিন্তু ...
সামনের হাফলায় বিতর্কে কি অবস্থা হবে কে জানে! যদিও বিষয়বস্তু আমাদের পক্ষে, কিন্তু তারপরও কেন যেন ভয় ভয় লাগছে। আসলে কোন কাজেই আল্লাহ তায়ালার সাহায্য ছাড়া সফলতা পাওয়া সম্ভব না। এখানেও সেই কথা। বিষয়বস্তু যতই আমাদের পক্ষে থাক, আল্লাহ তায়ালার মদদ না পেলে কোন সফলতার আসা নেই।
মাসুম হুজুর একটা বই দিয়েছেন, " তাফসীরে সূরা তওবাহ" ড. শহীদ আবদুল্লাহ আয্যাম (রহঃ)।
এবং এটা কমপক্ষে পঞ্চাশ পৃষ্ঠা পড়তে বলেছেন। ছয় সাত পৃষ্ঠা পড়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার। মানে শুক্রবারের রাত। একজন তালিবুল ইলম হিসেবে সারা রাত মুতালাআর মধ্যে কাটিয়ে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া উচিত ছিল। কিন্তু আমি কি করছি! এখন কম্পুর সামনে বসে আছি, তাহাজ্জুদ তো দূরের কথা, ফজরের নামাজ কাজা হওয়ার সম্ভাবনাও ফিফটি ফিফটি!!
আর লিখতে মন চাচ্ছে না। যদি ভুলেও কেও এই লেখাটা পড়েন, আমার জন্য একটু দোয়া করবেন, যাতে আর ফজরের নামাজ কাজা না হয়...
একজন তালিবে ইলমের জন্য ছুটি বলে কোন কথা থাকতে পারে না। তার পরও বলতে বড় ইচ্ছে হয়, আজ আমাদের ছুটি।
বৃহস্পতিবার এলে আগে কত মজা লাগতো! সারা সপ্তাহ ধরে প্ল্যান প্রোগ্রাম করে রাখতাম ছুটিতে কি কি করব। কিন্তু এখন কেন জানি ছুটিতে আর স্বাদ পাইনা। পানসে হয়ে গেছে! সেদিন হামিদুল হক ভাইকে জিজ্ঞাস করলাম, আজ কি বার? তিনি বললেন "বৃহস্পতি", আমিতো অবাক!! এইনা গতকাল বা পরশু শুক্রবার গেল ! আজ কিভাবে বৃহস্পতি হয়?
আসলে সপ্তাহ কিভাবে কিভেবে কেটে যাচ্ছে সেটা আমি বুঝতেই পারছিনা।
ফেসবুকের একটা পেজে একটে লেখা পড়েছিলাম, "যদি তুমি সময়ের মুল্য বুঝতে চাও তাহলে তাকে জিজ্ঞাস করো যে তার জীবনের সময়গুলোকে অবহেলায় নষ্ট করেছে।" এটা সাধারণ মানুষের কথা, মানে সাধারণ মানুষের জন্য। কিন্তু তালিবুল ইলমতো আর সাধারণ মানুষ নয়! তারা কোনভাবে সময় নষ্ট করবে সেটা ভাবা যায় না। তাদের অনেক কাজ, অনেক মেহনত করতে হবে। তাদের কোন অবসর নেই কোন ছুটি নেই!
তারপরও বলব "আজ আমাদের ছুটি", কারণ আজ যে বৃহস্পতিবার ! আসলে এটা ছুটি নয়, এটা মাদরাসার বিরতি। তালিবুল ইলমের ছুটিতো হবে সেইদিন যেদিন সে ............
সময় কেমন তাড়াতাড়ি চলে গেল, আবার কবে লিখব কে জানে !! এখন মাদরাসায় যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার এলে আগে কত মজা লাগতো! সারা সপ্তাহ ধরে প্ল্যান প্রোগ্রাম করে রাখতাম ছুটিতে কি কি করব। কিন্তু এখন কেন জানি ছুটিতে আর স্বাদ পাইনা। পানসে হয়ে গেছে! সেদিন হামিদুল হক ভাইকে জিজ্ঞাস করলাম, আজ কি বার? তিনি বললেন "বৃহস্পতি", আমিতো অবাক!! এইনা গতকাল বা পরশু শুক্রবার গেল ! আজ কিভাবে বৃহস্পতি হয়?
আসলে সপ্তাহ কিভাবে কিভেবে কেটে যাচ্ছে সেটা আমি বুঝতেই পারছিনা।
ফেসবুকের একটা পেজে একটে লেখা পড়েছিলাম, "যদি তুমি সময়ের মুল্য বুঝতে চাও তাহলে তাকে জিজ্ঞাস করো যে তার জীবনের সময়গুলোকে অবহেলায় নষ্ট করেছে।" এটা সাধারণ মানুষের কথা, মানে সাধারণ মানুষের জন্য। কিন্তু তালিবুল ইলমতো আর সাধারণ মানুষ নয়! তারা কোনভাবে সময় নষ্ট করবে সেটা ভাবা যায় না। তাদের অনেক কাজ, অনেক মেহনত করতে হবে। তাদের কোন অবসর নেই কোন ছুটি নেই!
তারপরও বলব "আজ আমাদের ছুটি", কারণ আজ যে বৃহস্পতিবার ! আসলে এটা ছুটি নয়, এটা মাদরাসার বিরতি। তালিবুল ইলমের ছুটিতো হবে সেইদিন যেদিন সে ............
সময় কেমন তাড়াতাড়ি চলে গেল, আবার কবে লিখব কে জানে !! এখন মাদরাসায় যেতে হবে।
পরীক্ষার ফলাফল তো বেশী ভালো না, আগামীতে কি হবে ?
মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৩
লিখেছেনঃ Rabiul Islam
Tag :
অনুভূতি
এখন রাত একটা বাজে। হয়তোবা আগামীকাল থেকেই রমজান শুরু হয়ে যাবে। গত বৃহস্পতিবার মাদরাসা ছুটি হল। অথচ এখন পর্যন্ত কোন কিতাব ছুঁয়েও দেখা হয়নি। ছুটির আগে পরীক্ষা চলাকালীন সময় অবশ্য চিন্তা করেছি এই ছুটিতে ভালো ভাবে পড়ব। হেদায়া কিতাবটা সম্পুর্ন মুতালাআ করব। কিন্তু বরাবরের মত এবারও সেই একই অবস্থা। বাসায় আসলেই আর পড়া হয় না। সারাদিন শুধু কম্পিউটার আর টিভি নিয়ে থাকি। ( এখন অবশ্য টিভি দেখা কমিয়ে দিয়েছি, কিন্তু কম্পিউটারের পিছনেই সারাদিন চলে যায় )
পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সেদিন গিয়েছিলাম দারুল উলুম। জাকির সাহেব হুজুরের কাছে। জাকির সাহেব হুজুর আমার সবচেয়ে প্রিয় উস্তাদ। তাঁকে আমি খুবই ভালোবাসি। কিন্তু তাঁর সামনে গেলেই কেন জানি নিজেকে খুব নার্ভাস ( এ শব্দটার বাংলা টা মনে নেই ) লাগে। ঠিকমত কথাও বলতে পারি না। যাই হোক, তার কাছে যাওয়ার পর তিনি আমাদেরকে ( আমি,মোহাম্মদুল্লাহ ,আজিজ ভাই ও হামিদ ভাই ) হালিম খাওয়ালেন। ( গেলেই খাওয়ান :P ) বিভিন্ন কথা বার্তা বললেন। বাইতুর রাসুল (সঃ) এর অনেক কথা, অনেকের কথা জিজ্ঞাসা করলেন।
যখন আমরা এসে পরব তখন তিনি বললেন ঃ রবিউল! পড়ালেখায় আরেকটু মনোযোগ দেন, সারাদিন কম্পিউটার নিয়া বইসা থাইকেন না। কম্পিউটারের যা শিখার তাতো শিখছেনই। আর কত! একেবারে ছেড়ে দিতে বলি না, বরং তাতে একটু সময় কম লাগিয়ে পড়া লেখায় মেহনত করেন।
হুজুরের কথা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। মানতেও চেষ্টা করি (!), কিন্তু ঐযে, কয়েকদিন আগে লিখলাম না যে মানুষ অভ্যাসের দাস। তাই কিছুতেই কম্পিউটারের নেশা ছুটাইতে পারছিনা।
এখন বাজে রাত একটা ত্রিশ। এত টুকু লিখতেই আধা ঘন্টা চলে গেল !! সময় কত দ্রুত শেষ হয়ে যায় !!!
মানুষ অভ্যাসের দাস। এই কথাটি অনেক শুনেছি। কিন্তু এখন হারে হারে টের পাচ্ছি কথাটার সত্যতা।
সামনে বার্ষিক পরীক্ষা , তাই মনে করেছিলাম আপাতত কম্পিউটার চালানো বন্ধ রাখি। পরীক্ষার পরই নাহয় বেশী করে চালাব।
কিন্তু বিশ্বাস করুন, বাসায় আসার পর থেকে খালি মনে হচ্ছিল কখন কম্পিউটারে বসব। কখন নেট চালাব।
অনেক চেষ্টার পরও এই পিসি থেকে নিজেকে বাধা দিয়ে রাখতে পারলাম না। একদিন কম্পিউটার না চালালে খলি মনে হয় কি যেন করা হয়নি কি যেন করা হয়নি !
যাই হোক , আল্লাহর কাছে দোয়া করি। হে আল্লাহ, তুমি আমাকে এই কম্পিউটারের সকল অনিষ্ট থেকে হেফাজত কর। আমীন
সামনে বার্ষিক পরীক্ষা , তাই মনে করেছিলাম আপাতত কম্পিউটার চালানো বন্ধ রাখি। পরীক্ষার পরই নাহয় বেশী করে চালাব।
কিন্তু বিশ্বাস করুন, বাসায় আসার পর থেকে খালি মনে হচ্ছিল কখন কম্পিউটারে বসব। কখন নেট চালাব।
অনেক চেষ্টার পরও এই পিসি থেকে নিজেকে বাধা দিয়ে রাখতে পারলাম না। একদিন কম্পিউটার না চালালে খলি মনে হয় কি যেন করা হয়নি কি যেন করা হয়নি !
যাই হোক , আল্লাহর কাছে দোয়া করি। হে আল্লাহ, তুমি আমাকে এই কম্পিউটারের সকল অনিষ্ট থেকে হেফাজত কর। আমীন