Archive for 2014

মাকতাবায় শামেলা, সমস্যা এবং সমাধান !

বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৪
লিখেছেনঃ Rabiul Islam
আসসালামু আলাইকুম!
আশা করি মাকতাবায় শামেলার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই! সহস্রাধিক ইলমী, ইসলামী আরবী কিতাবের এই সফটওয়ার সকল আলেম ও তালিবুল ইলমের কাছে খুবই প্রিয়। আমি একাধিক আলেমকে দেখেছি যারা শুধুমাত্র এই মাকতাবা শামেলা ব্যবহারের জন্যই মোবাইল বা পিসি কিনেছেন!

মাকতাবায় শামেলার নতুন ব্যবহারকারিরা প্রাথমিক অবস্থায় কিছু সমস্যায় পড়েন, যার সমাধান করাটা সহজ কিন্তু না জানা থাকার কারনে এবং বাংলায় এর কোন সমাধান খুজে না পাওয়ার কারনে তারা এটাকে বিরাট সমস্যা মনে করেন।

মাকতাবায় শামেলা


সমস্যা নাম্বার একঃ  মাকতাবায় শামেলা ডাউনলোড করা!

সমাধানঃ  এই সফওয়ারটির সাইজ (কিতাব সহ) প্রায় দুই থেকে তিন গিগাবাইটের মত, তাই সহজ হল আপনার নিকটের কারও কাছে থেকে এটা সংগ্রহ করা অথবা দোকান থেকে এটার একটা ডিভিডি কিনে নেয়া। (বাড্ডার মাকতাবাতুল আযহারে সম্ভবত পাওয়া যায়)। আর যদি আপনার ইন্টারনেট আনলিমিটেড হয় এবং স্পিডও মোটামোটি ভালো থাকে প্লাস আপনার ধৈর্যও থাকে তাহলে আপনি এটা ডাউনলোড করে নিতে পারেন এই ঠিকানা থেকেঃ  http://shamela.ws/index.php/page/download-shamela

এখানে একটা পেজ আসবে নিচের মত, আপনি টরেন্ট ফাইল অথবা সরাসরি সম্পুর্ন সফটটি 7zip ফাইলে অথবা খন্ড খন্ড ভাবে 7zip ফাইলে ডাউনলোড করতে পারেন।

টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড এর জন্য আপনাকে টরেন্ট সফট ব্যবহার করতে হবে, যেমন uTorrent বা bitTorrenT । আর 7 ZIP বা RAR ফাইল আনজিপ করার জন্য 7zip অথবা winRAR অথবা IZArc সফটওয়ার প্রয়োজন হবে।
কিতাব ছাড়া শুধুমাত্র মাকতাবায় শামেলা সফটওয়ারটি ডাউনলোড করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুনঃ http://d.shamela.ws/downloads/shamela3.61.rar সাইজঃ ২৩+ মেগাবাইট!


দ্বিতীয় সমস্যাঃ মাকতাবা শামেলা ইনস্টল করার পর আরবী লেখা দেখা যায় না। বরং একধরনের দুর্বোধ্য চিহ্ন আসে!    



সমাধানঃ  এটা সাধারন একটা সমস্যা, কিন্তু আমার মনে আছে এই সমস্যার কারনে আমি সৌদি থেকে আসা মাকতাবায় শামেলার ডিভিডিকে নষ্ট বলে ফেরত দিয়েছিলাম :P !

যাই হোক, এক্ষেত্রে কম্পিউটারে ভাষাটা একটু পরিবর্তন করতে হবে।  নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুনঃ
১) প্রথমে আপনার কম্পিউটারের কন্ট্রোল প্যানেলে ( Control Panel )  যান।
২) সেখানে থেকে 'Clock, Language and Region' অপশনে যান।
৩) তারপর "Region and Language" অপশনের নিচে "Change Display Language" লেখাটাতে ক্লিক করুন।
৪) একটা পপআপ উইন্ডো আসবে, সেখানে "Administrative" মেনুতে ক্লিক করুন, তার পর নিচে "Change System local..." লেখাতে ক্লিক করুন।
৫) আরেকটা পপআপ উইন্ডো আসবে, যেটাতে "English (united stats)" লেখা, সেখানে ক্লিক করে ড্রপডাউন লিস্টে "Arabic (Saudi Arabia)" সিলেক্ট করুন, তারপর "OK" বাটন ক্লিক করুন।
৬) রিস্টার্ট চাইবে, রিস্টার্ট করে ফেলুন।
    ব্যস আপনার কাজ শেষ, মাকতাবায় শামেলা ওপেন করুন, দেখবেন সব আরবী...

উপরের ধাপগুলো বুঝতে সমস্যা হলে এই ভিডিও টি দেখে নিনঃhttp://youtu.be/Ved_b5Z8L0g



সমস্যা নাম্বার তিনঃ এই সুবিশাল সফটওয়ার না থাকলেও নির্দিষ্ট কোন কিতাব পড়া!

সমাধানঃ 
www.shamela.ws ওয়েবসাইটে গিয়ে যেকোন কিতাব সিলেক্ট করলে সাধারনত চারটা অপশন পাবেন।

১) সরাসরি অনলাইনে পড়তে পারবেন।
২) এন্ড্রয়েডের জন্য ডাউনলোড করতে পারবেন (যা পড়তে এন্ড্রয়েড মোবাইলে মাকতাবায় শামেলা বা যেকোন ইবুক রিডার ইন্সটল থাকা লাগবে)।
৩) পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন, যা Adobe Reader বা অন্য কোন পিডিএফ রিডার দিয়ে পড়তে পারবেন।
৪) .BOK ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন।  এবং এটা মাকতাবা শামেলা সফট দিয়েই ওপেন করতে পারবেন।

স্ক্রিনশটঃ


সমস্যা নাম্বার চারঃ মাকতাবা শামেলা ইনস্টল করা, কিতাব খোলা, কিতাব সার্চ করা ইত্যাদি ইত্যাদি...!!!
সমাধানঃ এগুলো আসলে কোন সমস্যাই না, ব্যবহার করতে করতে শিখে যাবেন। আর সধারন কিছু বিষয়ের টিউটোরিয়াল এখানে দেয়া আছে, দেখে নিতে পারেনঃ http://shamela.ws/help.php
এছাড়াও ইংরেজি মোটামুটি জানলে এই টিউটোটা দেখতে পারেন http://islaamiclibrary.wordpress.com/2009/03/01/thecomprehensivelibrary/

এর পরও কোন সমস্যা হলে কমেন্টে জানাতে পারেন :P

সমস্যা নাম্বার পাচঃ সব তো আরবীতে লেখা, আরবীতো বুঝিনা!
সমাধানঃ ... !!! আরবী না বুঝলে মাকতাবা শামেলা আপনার জন্য নারে ভাই! আপনি গুগলে বাংলা কিতাব সার্চ করে ডাউনলোড করুন। কারণ শামেলার সকল কিতাবই আরবী!

সমস্যা নাম্বার ছয়ঃ মোবাইলের জন্য কীভাবে ডাউনলোড করব?
সমাধানঃ 
এন্ড্রয়েডের জন্যে এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেনঃ http://bit.ly/1wEcyLU বা  http://bit.ly/1vtPjHr
আইওএস ব্যবহারকারীরা এখান থেকেঃ http://bit.ly/1yBSvST
জাভা সমর্থিত মোবাইলের জন্যঃ http://bit.ly/1vbAB6L
উইন্ডোজ মোবাইলের জন্যঃ কোন সফট খুজেই পেলাম না :(



আপাতত আর কোন সমস্যা মাথা আসছেনা। আপনারা কোন সমস্যায় পড়লে কমেন্ট করুন অথবা আমাকে ইমেইল করতে পারেন rabiulislam993 @ live.com 

খোদা হাফেজ!

আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে লালমাটিয়া মাদরাসাতেই ভর্তি হলাম! এতদিন বাইতুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাদরাসায় অনাবাসিক ছিলাম, সারাদিন বাসায় থাকতাম, মাঝে মাঝে মাদরাসায় যেতাম। এখন সারাদিন মাদরাসায় থাকতে হবে আর সপ্তাহে (যদি ছুটি-টুটি পাই) একটুআধটু বাসায় আসতে পারব...



দেখা যাক ভবিষ্যৎ কি হয়,   --দোয়া প্রার্থি! 
বাইতুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাদরাসায় আমার দু'বছর অতিবাহিত হয়ে গেল। আমি এখন বাইতুর রাসূল (সঃ) এর ফারেগ ছাত্র। এর আগেও আমি ফারেগ হয়েছিলাম, হাজারীবাগ দারুল উলুম মাদরাসা থেকে, সেখানে তখন তৃতীয় বর্ষ পর্যন্তই ছিল ! 



পরীক্ষা শেষে দুপুর বেলা যখন আখেরী মজমায় সবাই একত্রিত হল, আমাদের বর্ষের পাঁচ জনকে মাদানী হুজুর সকলের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলতে বললেন। পীর সাহেব কথা বললেন, আলামিন ভাই হিজবুল্লাহ ভাই আহসানুল্লাহ ভাইও কথা বললেন!
তারা বললেন নিজেদের কথা, আমাদের কথা, পঞ্চম বর্ষের কথা! আবেগ, ভালবাসা আর হৃদয়ের ব্যকুলতা নিয়ে তারা কথা বললেন, কাঁদলেন, কাঁদালেন, সকলের কাছে দোয়া চাইলেন, ক্ষমা চাইলেন... 

তারপর উসতাদগন কথা বললেন, নসীহত করলেন, দিক নির্দেশনা দিলেন। উস্তাদগন এই কাজটা সবসময়েই করেন, কিন্তু আমাদের অক্ষমতা... আমরা এগুলো ধারণ করতে পারিনা, মেনে চলতেও পারিনা...
ছুটির পর মাদানী হুজুর আমাদের কামরায় আসলেন, কিছু কথা বললেন, সকলের সাথে মুসাফাহ্‌ করলেন এবং...
এবং সকলের সাথে মুয়ানাকাহ্‌ করলেন!! এর আগে আমি কখনো কোন উস্তাদের সাথে বুক মিলাইনি,  এমনিতেই আমি সবসময় উস্তাদদের থেকে দূরে দূরে থাকি। কোন উস্তাদের সঙ্গে আমার অন্তরঙ্গতাও তৈরি হয় নি। আমি জানি এটা মোটেও প্রশংসাযোগ্য নয়, কিন্তু এটাই আমার ‘তবিয়ত’।
মাদানী হুজুরের সাথে যখন কোলাকুলি করলাম তখন আমার ভিতরের অনুভূতিগুলো কেমন যেন জট পাকিয়ে গেল, আমি বুঝতে পারছিলাম না যে আসলে কি হচ্ছে, আমি কি করছি, আমার কিই বা করা উচিত!
যখন আলিঙ্গনমুক্ত হলাম, তিনি অন্যান্য তালিবুল ইলমদের সাথে মুয়ানাকাহ করতে লাগলেন... তখন কেন জানি আমার বুকের ভিতরে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করলাম, কিছু বুঝে উঠার আগেই চোখ দিয়ে যাকে বলে অঝোর ধারায় পানি পরতে লাগলো। আমি কাঁদলাম, কেন কাঁদলাম জানিনা, তবে সেদিন আমার কাঁদতে ভালো লেগেছিল... খুবই ভালো লেগেছিল !
রাতে বাকি সকল উস্তাদগনের সাথে দেখা হয়েছিল, কথা হয়েছিল, মুসাফাহও হয়েছিল। দুপুরে সহপাঠী মাহমূদ চলে গিয়েছে তাই তার সাথেও মুসাফাহ মুয়ানাকাহ হয়েছিল।
অন্যান্য তালিবুল ইলমরা সকালে যাবে, আমি সকালে এসে সকলের সাথে মুসাফাহ করব এই বলে বাসায় ঘুমাতে আসলাম, কিন্তু পরের দিন সকালে আর মাদরাসায় যেতে পারিনি! কারো সাথে সাক্ষাতও হয়নি, রাফি ভাই,আলামিন ভাই এ.কে. খান! ভাই, মুহাম্মদ হুসাইন ভাই দুই দিনের জন্য মুন্সিবারি মসজিদে তাবলীগ জামাতের সাথে ছিলেন। তাদের সাথে দেখা হয়েছিল।
আজ শুক্রবার, আগামীকাল রাতের বাসেই ইনশাআল্লাহ আমি কুড়িগ্রাম চলে যাব, আম্মু-আব্বুর সাথে সারা রমজান সেখানেই কাটাব, ঈদের পর ফিরব। দোয়া করবেন যাতে ঈদের ছয় সাত দিন পরের টিকিট পেয়ে যাই !

তারপর ভর্তিপরিক্ষা দেয়ার জন্য ছোটাছোটি শুরু করব, প্রথমে যাবে জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ, সেখানে না হলে আমার ইচ্ছা হল লালবাগ মাদরাসায় যাওয়া, কারন সেটা মোটামোটি আমাদের বাসার কাছেই J । তবে নানা যায়গা থেকে লালবাগ ভর্তি হওয়ার ব্যপারে বাধা আসে, তাই অন্য কোথায়ও ভর্তি হয়ে যেতে পারি... আল্লাহ তায়ালা সাহায্য করুন! আমীন। 

হিজবুল্লাহ ভাইয়ের দেশে ...

বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০১৪
লিখেছেনঃ Rabiul Islam
আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে মাদরাসার বার্ষিক পরীক্ষা শুরু। কিন্তু সমস্যা হল, পরীক্ষার যে পনেরো দিন খেয়ার দেয়া হল, এই পনেরো দিনে আমি পড়েছি মাত্র (হেদায়ার) দুই পৃষ্ঠা ! তাও আবার যেটা গত পরীক্ষায় চলে গেছে, এ পরীক্ষায় সে দুই পৃষ্ঠা থেকে প্রশ্ন আসার কোন সম্ভাবনাই নাই !


যাই হোক, এতদিন পরীক্ষা নিয়া মাথা ঘামাই নাই, "সো" এখন ঘামানোর কোন মানেই হয় না।

আজ হঠাৎ হিজবুল্লাহ সালেম ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেল, আমরা এক সাথেই পড়ি। তবে আমাকে আমার দরসের তালিবুল ইলমরা বাদে অন্যকেও না চিনলেও হিজবুল্লাহ ভাইকে কিন্তু সম্পুর্ন মাদরাসা চিনে।
সকল তালিবুল ইলম, সকল ওস্তাদ তাকে চিনে, আমাদের এলাকায় যত মানুষ এই মাদরাসার কথা জানে (আমার ধারণা) তার চেয়ে বেশি মানুষ হিযবুল্লাহ ভাইকে চিনে!
একদিন রাস্তা দিয়ে হাটছি, হঠাৎ এক মহিলা জিজ্ঞাসা করল, এই তুমি কোন মাদরাসায় পড় ? আমি একটু 'থতমত' খেয়ে বললামঃ ঐ দিকে"বাইতুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" মাদরাসায়। তিনি বললেনঃ হিজবুল্লাহ যে মাদরাসায় পড়ে সেটাতে ? আমি বললামঃ জি। সেটাতেই !!!

অবশ্য ব্যপারটার 'রিভার্স' সাইট ও আছে। আমার ধারণা বাংলাদেশের এমন কোন জেলা নাই যেখানে এমন মাদরাসা আছে যেটার কমপক্ষে দুইজন ওস্তাদকে হিজবুল্লাহ ভাই চিনে না। (মনে হতে পারে আমি অতিরঞ্জিত করছি, তবে এটাই বাস্তব)। অমুক জায়গায় নাকি একটা মাদরাসায় আছে, নাম শুনেছেন ? হ্যা, মাওলানা অমুক সাহেব তো সেখানের ওস্তাদ, আমার সংগে ভালো খাতির!!
অপরিচিত মাওলানা অমুক সাহেব সম্পর্কে জানেন কিছু ? আরে হ্যা, তার ছেলেতো ঐ মাদরাসায় পড়ে, আমার বন্ধু !!
প্রতিটি কথাতেই হিজবুল্লাহ ভাইয়ের এরকম উত্তর পাওয়া জায়। তবে তিনি কিন্তু সব সত্য কথাই বলেন।

আমাদের মাদরাসার প্রতিটি প্রয়োজনে সর্বপ্রথম ডাক পড়ে হিজবুল্লাহ ভাইয়ের। পাহাড়পুরী হুজুর এসেছেন, হিজবুল্লাহ ভাইকে ডাকো। আদীব সাহেব হুজুর এসেছেন, হিজবুল্লাহ ভাই কোথায় ? আগামী মাসে মাহফিল, হিজবুল্লাকে ডাকোতো।
এমনকি বাবুর্চি যদি কোন কারণে অনুপস্থিত থাকে তাহলেও মাতবাখে ডাক পড়ে হিজবুল্লাহ ভাইয়ের।

হিযবুল্লাহ ভাইয়ের অনেকগুলো গুনের মধ্যে আরেকটা গুন হল, কিভাবে কিভাবে যেন তিনি সব খবর আগেই পেয়ে যান! হঠাৎ করে ঘোষণা দিয়ে বসেন, অমুক দিন অমুক মাদরাসায় খতমে বুখারী। ওমুক দিন ওমুক খানে ওয়াজ মাহফিল, অমুক সাহেব আসবেন। অমুক দিন অমুক মসজিদে তারাবির ইন্টারভিউ, অমুক দিন মাদরাসায় অমুক হুজুর আসবেন ইত্যাদি ।
তার এই অগ্রিম সংবাদ দানের কারনএ আমাদের জামাতের ছাত্ররা তার নাম রেখেছেন "দৈনিক হিজবুল্লাহ, সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ"!

আমাদের মাদারাসায় যারা নতুন আসে, তাদের নব্বই শতাংশই সর্বপ্রথম পরিচিত হয় হিজবুল্লাহ ভাইয়ের সাথে। এমনকি আমি যখন দারুল উলুম পড়তাম তখনও বাইতুর রাসূল (সাঃ)এর মাত্র একজন ছাত্রকেই চিনতাম, হিজবুল্লাহ !

সময় বেশি নেই, এখন গোসল করতে যাব, পীর সাহেবের (আরে, আমাদের মাহফুজ মুশতারি{!!!} ভাই) সেই কথাটা মনে পড়ল, তিনি একদিন আমাকে বলছেন। রবিউল ভাই! ভবিষ্যতে যদি কোন দিন দেওবন্দ, করাচি বা অন্য কোন দেশে পড়তে যাই তাহলেতো বড় আশংকা হয়! জিজ্ঞাস করলাম কিসের আশংকা? তিনি বললেন, সেখানের মানুষরাতো আমাকে জিজ্ঞাসা করবে আমি কোন দেশ থেকে এসেছি, আমি বলব বাংলাদেশ থেকে, তখন তারা একটু অবাক হয়ে কিছুক্ষন চিন্তা করে বলবে, ও আচ্ছা আচ্ছা! আপনি হিজবুল্লাহ ভাইয়ের দেশ থেকে এসেছেন... !! ??

হিজবুল্লাহ ভাই মাদরাসার সকল প্রয়োজনে যেভাবে এগিয়ে আসেন, আল্লাহ তায়ালা ইসলামের সকল প্রয়োজনে আপনাকে সেভাবেই অগ্রসর করে রাখুন। আমীন।

হিজবুল্লাহ ভাইকে নিয়ে অনেক কথা বলে ফেললাম, ব্লগে লেখার কিছু পাইনা তাই... :) আর আমার দরসের কোন তালিবুল ইলম যদি এই লেখাটা (ভুলে) পড়ে ফেলেন তাহলে কিন্তু মাইন্ড খাইয়েন না :P 
আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে সীরাত প্রতিযোগিতার পুরষ্কার 'এন্ড্রয়েড ট্যাব'টি আজ ইউসুফ সুলতান সাহেব হুজুর থেকে নিয়ে আসলাম।




সকালে দরসের পরই সোয়া বারটার দিকে রওনা হয়ে যাই, সাথে মোহাম্মাদুল্লাহ আর আহসানুল্লাহ ভাইও ছিল। গুলিস্তান হয়ে মালিবাগ রেলগেট, বাইতুল ফালাহ মসজিদে নামাজ পড়ি। ইউসুফ সুলতান সাহেব সেখানের খতীব, বয়ানে তার একটি কথা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে, তিনি মানুষকে একশত বছর আগের কম্পিউটারের সাথে তুলনা দিয়েছেন। যেগুলো নাকি ইয়া বিশাল আকৃতির হত, বিশাল যায়গা নিয়ে সেটাকে সেটাপ করতে হত, সেগুলোর একেকটা পার্টস হত একটা রুমের সমান, অথচ সেই কম্পিউটার সামান্য যোগ-বিয়োগ টাইপ অংক করতেই কয়েক ঘন্টা সময় লাগাত।
আচ্ছা সেই কম্পিউটার কি কখনো বুঝতে পেরেছিল যে তার যেটুকু ক্ষমতা সেটা নিতান্তই অল্প! আসলে সেটার ক্ষমতা এতই কম ছিল যে সেটা কখনো বুঝতে পারেনি যে তার ক্ষমতা আসলেই কম!!
বর্তমান আধুনিক কম্পিউটারগুলোর ক্ষমতা এত বেশি যে সেগুলোর একটার সমান ক্ষমতাধর কম্পিউটার যদি সেই একশত বছর আগে বানানো হত তাহলে সেটার কলেবর সৌরজগতের গ্রহগুলোর পথে বাধা সৃষ্টি করত!!
আচ্ছা, বর্তমান আধুনিক কম্পিউটার কি এটা বুঝতে পারে যে তার ক্ষমতা খুবই সামান্য!সেকি কখনো বুঝতে পারবে যে, তাকে যে বানিয়েছে সে "মানুষ" কথ ক্ষমতাধর। সেকি কখনো বুঝতে পারবে মানুষের ক্ষমতা !!!
পারবেনা, কারণ সে যত উন্নতই হোক না কেন, যত ক্ষমতাধর চিন্তাশক্তির অধিকারীই হোক না কেন মানুষই হল সেগুলোর স্রষ্টা। মানুষের চিন্তাধারা ও জ্ঞানের কাছে একটি আধুনিক কম্পিটার বা ভবিষ্যতের অত্যাধুনিক কম্পিউটারের জ্ঞান ও চিন্তাধারা (লজিক!) হল সীমাবদ্ধ, এবং সংক্ষিপ্ত।

তো যেরকম ভাবে একটি কম্পিউটার কখনো মানুষের ক্ষমতা বুঝতে পারেনা, সেরকম ভাবে কোন মানুষও তার স্রষ্টা আল্লাহ তায়ালার ক্ষমতা বুঝতে পারবে না, আল্লাহ তায়ালার ক্ষমতা নিয়ে চিন্তা করবে, চিন্তা করতে করতে একসময় সে ক্লান্ত হয়ে পড়বে, কিন্তু আল্লাহ তায়াল ক্ষমতা সে বুঝতে পারবেনা। কারণ আল্লাহ তায়ালার কুদরতের সামনে সকল মানুষের জ্ঞান ও চিন্তাশক্তি সীমিত, সীমাবদ্ধ। যদিও এটাও মানুষ বুঝতে পারেনা, কারণ তাদের আসলে এটা বোঝার মত শক্তি বা ক্ষমতাও নেই, যেমন নেই একটা কম্পিউটারের...

বিশাল একটা বয়ান করে ফেললাম। ইউসুফ সুলতান সাহেবকে জাঝাকাল্লাহ, তার বয়ানের জন্য।
তো নামাজ শেষে আমরা তিনজন তার সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম, দেখি নামাজের পর বেশ কয়েকজন মুসল্লি তার নিকট গোল হয়ে বসেছে, আমরাও গেলাম। সেখানে কয়েকজন তার কাছে মাসয়ালা জিজ্ঞাস করছে আর তিনি সেগুলোর উত্তর দিচ্ছিলেন, আমিও একটা প্রশ্ন করেছিলাম, ডিজিটাল ক্যামেরা বা মোবাইল দিয়ে মানুষ বা প্রনীর ছবি তোলা জায়েজ কিনা? তিনি সুন্দর করে সেটার উত্তর দিয়েছেন। জাঝাকাল্লাহ।

তারপর আমাদের সাথে তিনি কথা বললেন, ট্যাবটা আমাকে দিলেন এবং... আমার একটা ইচ্ছা ছিল যে আমি হুজুরকে বলব, পুরষ্কার বিতরণের দিন তো সবাই আপনার সাথে ছবি তুলেছে, এখানে আমিও আপনার সাথে ছবি তুলব। কিন্তু মসজিদ এর ভিতরে তিনি ছবি তুলতে সংকোচবোধ করছিলেন বিধায় আর বলিনি... তবে মজার ব্যপার কি জানেন :) একটু পর তিনিই আমার ছবি তুললেন :P

তার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে (তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন, আপনার এই কার্যক্রম/অগ্রগতি অব্যহত থাকুক!! যেটা আসলে তিনিই আমাকে প্রথম বলেছেন :)  ) মালিবাগ জামিয়া মাদরাসায় আসলাম, আহসানুল্লাহ ভাইয়ের পরিচিত তাকমীল জামাতের বরকত ভাই আমাদেরকে মেহমানদারী করলেন :) , জাঝাকাল্লাহ, বরকত ভাই !
সেখানে আমার কাছে ট্যাবটি দেখে অনেকে জানতে চেয়েছিল সেটা কোথা থেকে পেয়েছি, বলার পর লক্ষ করলাম, সীরাতের এ বিষয়টা সে মাদরাসার অন্তত তাকমীল জামাতের বেশির ভাগ তালিবুল ইলমই জানেনা।

চারটার দিকে সেখান থেকে রওনা দিয়ে বাসার সামনে এসে মসজিদে আসরের নামাজ পড়লাম।

এখন দারুল উলুম মাদরাসায় মাহফীল চলছে, বিরিয়ানি খেতে সেখানে যাব... খোদা হাফেজ!!
(দাওয়াত দিলাম না বলে আবার রাগ করবেন না কিন্তু!! )


ঘটনার শুরু হয়েছিল এক দুপুরে, দরসের প্রস্তুতি নিচ্ছি এমন সময় মাহদী ভাই এসে বলল আপনি কি সীরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেছেন ? আমি জিজ্ঞাস করলাম কোন প্রতিযোগিতা !? তিনি তখন আমাকে বিস্তারিত জানালেন। এবং বললেন তার ভাই আব্দুল্লাহ মারুফও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে এবং তার কাছ থেকেই তিনি ব্যাপারটা জেনেছেন।
মাহদী ভাই আব্দুল্লাহ মারুফ ভাই কিভাবে তার পরিকল্পনা করেছেন সেটারও একটা বর্ননা দিলেন, এবং সত্যি কথা বলতে কি, আমি সেই বর্ননার ছায়া অনুসারেই আমার পরিকল্পনা লিখেছি। (ব্যপারটাকে আপনি নকলও বলতে পারেন ;) ) তো এখানে আমার কিন্তু কোন দোষ নেই, একটা জিনিস জেনে ফেলা কি দোষ !!??
এই প্রতিযোগিতায় আমি অংশগ্রহন করেছি দুটি কারণে, সীরাত ওয়েবসাইটের সাথে যাতে যুক্ত থাকতে পারি (একারণটি সম্ভবত সব প্রতিযোগিরই ছিল !) এবং প্রতিযোগিদের সান্তনা পুরষ্কারের লোভে :P । প্রথম সাড়িতে থাকার কথা ধারণাও করিনি। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, ............
পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আমি  দরসের কারণে যেতে পারিনি। রাতে যখন নেটে বসলাম দেখি আব্দুল্লাহ মারুফ ভাইয়ের একটা ম্যাসেজ "আপনি দ্বিতীয় হয়েছেন"। প্রথমে মনে করলাম তিনি মজা করছেন ! কিন্তু তিনি কেন মজা করবেন !! পরে তার কথামত ইউসুফ সুলতান সাহেবের সাথে কথা বলে জানলাম আসলেই... আলহামদুলিল্লাহ।
আমি অনুষ্ঠানে যাই নি, তাই আব্দুল্লাহ মারূফ ভাই তার অনুষ্ঠানের কার্ডটি আমাকে হাদিয়া দিয়েছেন, এইযে সেটা...



আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা আমাকে এই সৌভাগ্য দান করেছেন, আব্দুল্লাহ মারুফ ভাইকে জাঝাকাল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সর্বদা দ্বীনের উপর থেকে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের তৌফিক দান করুন। এবং মাহদী ভাইকেও জাঝাকাল্লাহ, আমাকে "কান ধরে" এই কাজটি করানোর জন্য :)


আমার বিতর্কবেলা...

বুধবার, ২১ মে, ২০১৪
লিখেছেনঃ Rabiul Islam
আসসালামু আলাইকুম!
বাইতুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাদরাসায় আমার দুই বছরের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা হল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা। এর আগে আমি কখনো বিতর্ক প্রতিযোগিতা করিনি এবং আশা করি আগামীতেও করব না, কারণ এই দুই বছরে বিতর্ক থেকে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি, তাহলো বিতর্কের মাধ্যমে কোন সমস্যার সমাধান হয় না, বা বলতে পারেন বিতর্কের আসলে বাস্তবে কোন ফলাফল থাকেনা!



আমার প্রথম বিতর্কের বিষয় ছিলঃ বর্তমানে তালিবুল ইলমদের জন্য ইংরেজি শেখা আবশ্যক!,  আমি ছিলাম বিপক্ষে!
এমনিতেই আমি মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলতে ভয় পাই। বিতর্কে অংশগ্রহন করতেই চাইনি কিন্তু ছেলেগুলো জোর করে নাম দিয়ে দিয়েছে !  তার উপর আবার আমাকে দলনেতা বানিয়ে দেয়া হয়েছে, কিযে ভয় পেয়েছিলাম! নিজের যুক্তিগুলোই ঠিক করতে পারিনা আবার বাকীদেরকে যুক্তি বলে দিতে হবে, কি ভয়ংকর। অবশ্য পরে বুঝতে পেরেছিলাম, অন্যদেরকে যুক্তি বলার কোন প্রয়োজন ছিলনা :)
কিরকম বিতর্ক দিয়েছি সেটা জানিনা, কিন্তু ফলাফলটা ছিল অদ্ভুত+মজাদার, কারণ আমার দলই জিতেছিল আর আমি হয়েছিলাম নাম্বার ওয়ান "......" "......"  !!! আলহামদু লিল্লাহ। এখানে অবশ্য মিযান ভাইয়ের কথা না বললেই নয়, তিনি সৌদিতে থেকেই আমাকে একেবারে তিন পৃষ্ঠা যুক্তি লিখে দিয়েছেন... জাঝাকাল্লাহ মিযান ভাই!

আমার দ্বিতীয় বিতর্কের বিষয় ছিলঃ আধুনিক বিজ্ঞান মানুষের জন্য রহমত! এটাতেও আমি ছিলাম বিপক্ষে!
পক্ষ দলের দলনেতা ছিলেন মাদরাসার বিখ্যাত বিতার্কিক "জুনায়েদ ভাই"। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে এবার আমাদের খবর আছে, আমাদের দলনেতা মুহাম্মদ ভাই খুব চেষ্টা করেছিলেন দল জেতানোর কিন্তু আমরা সফল হতে পারিনি। পক্ষ দলের "বাশ" খাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোন কাজ ছিলনা :) তবে ফলাফলটা যথারীতি অদ্ভুত, আমি হয়েছি প্রথম!

তৃতীয় বিতর্ক ছিলঃ  গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েকম করা সম্ভব! এটাতেও আমি বিপক্ষে ছিলাম (অদ্ভুত!) আর ছিলাম দলনেতা ;) ফলাফল আমরা " জয়ী + :) " (সবকিছু কি বলতে হয়!)

চতুর্থ বিতর্কঃ  বর্তমান ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে কায়েম করা সম্ভব!  বিপক্ষেই ছিলাম, আসলে আমার একটা ধারনা হয়ে গিয়েছিল যে বিপক্ষে থাকলেই জয় লাভ করা যায়, সে ধারণাকে ভেংগে দিয়ে আমাদেরকে কঠিন ভাবে "বাশান্নিত" করে গেল পক্ষ দলের দলনেতা নাজমুল ভাই। থাক এব্যাপারে আর কথা নাই বা বললাম!

পঞ্চম বিতর্কঃ ধারালো তরবারির চেয়ে শানিত কলমের অধিক প্রয়োজন! এই প্রথম আমি ছিলাম পক্ষে, কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হল যাকেই এ বিষয়টার ব্যপারে জিজ্ঞেস করি সেই এর বিপক্ষে মত দেয়! তরবারি ছাড়া যেন কেউ কিছুই বোঝে না! সেদিন হাফলার সকল বিষয়ই ছিল জিহাদ কেন্দ্রিক! বক্তৃতা- তারানা ইত্যাদি সবই যেন তালিবুল ইলমদের জিহাদি মনোভাবকে আরো জাগিয়ে তুলেছিল। অনেকে তো এটা নিশ্চিত ছিলো যে এবার কলম হেরে যাবে, আমরাও মোটামোটি শংকিত ছিলাম, কারণ সারাদিন জিহাদি জঝবায় উজ্জীবিত তালিবুল ইলমদেরকে যদি মঞ্চে দাঁড়িয়ে বুক ফুলিয়ে মুনশিয়ানার সাথে বলি যে তরবারির দরকার নাই, কলম হলেই যথেষ্ট! তাহলে আবার কিনা কি হয়ে যায়!!! আলহামদু লিল্লাহ, বিষয় যেটাই হোক, জয় কিন্তু আমাদেরই হয়েছে :)

ষষ্ট বিতর্ক যেটা আমার সর্বশেষ বিতর্ক ছিলঃ জাগতিক উন্নতির প্রতি উদাসীনতা মুসলমানদের বর্তমান দুর্দশার কারণ! আমি এটাতেও ছিলাম পক্ষে। বিষয়টা নিয়ে যথেষ্ট ভুগেছি, প্রথমে তো বিষয়টা বুঝতেই পারিনি। খালি খুজে বেড়াতাম মুসলমানরা আবার দূর্দশায় কিভাবে !? আল্লাহর রহমতে এটাতেও আমাদের বিজয় হয়েছে এবং আলহামদু লিল্লাহ বিজয় বেশেই আমার বিতর্কবেলা শেষ হয়েছে।

কথাগুলো "আত্মপ্রশংসা" হয়ে গিয়েছে! অবশ্য আমিই যদি আমার ব্লগে আমর ঢোল না পিটাই তাহলে কে আমার ঢোল পেটাবে বলেন! তাই কিছু মনে করবেন না, আর আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ!



এই পোস্টের শিরোনাম দেখে হয়তো কোন "জ্ঞানী" ভাই সন্দেহে পড়ে ভাবছেন আরে, শিরোনামটা তো নকল নকল লাগছে !! আপনার সন্দেহ দূর করার জন্য বলছি, আসলেই শিরোনামটা নকল করা হয়েছে !!! তবে কোথা থেকে নকল হয়েছে সেটা কিন্তু সিক্রেট... ( যদি বুঝে ফেলেন তাহলে ভিন্ন কথা :P )


আসসালামু আলাইকুম!

আমরা যারা তালিবুল ইলম আছি তাদের জন্য তো বটেই, সাধারণ মানুষদের জন্যও অনেক সময় আরবী লেখার প্রয়োজন পরে। যারা প্রফেশনাল তাদেরতো উইন্ডোজই আরবী করা থাকে এবং আরবী টাইপিং এর উপর দক্ষতাও থাকে। কিন্তু আনপ্রফেশলান, অথবা মাঝেমধ্যে আরবী লেখার প্রয়োজন পরে এমন লোকদের জন্য হঠাৎ করে আরবী লেখা অথবা পিসির ভাষা আরবী করে ফেলা একটা ঝামেলার কাজ। তাই আমি আজ দুটি সহজ পদ্ধতি লিখব যাতে কখনো "টুকটাক" আরবী লেখার প্রয়োজন হলে যেন কাউকে পেরেশান হতে না হয়...



প্রথম পদ্ধতিঃ 
এ পদ্ধতিটা তাদের জন্য যাদের প্রায়ই "টুকটাক" আরবী লেখার প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ একেবারে প্রফেশনাল না, এবং একেবারে কমও না :)
বাংলা টাইপিং করার জন্য আমাদের সবার কম্পিউটারে নিশ্চয় "অভ্র" ইনসটল করা আছে। এখন শুধু এই ধাপগুলো অনুসরণ করুন

  • এখানে ক্লিক করে http://bit.ly/1paoK7C ফাইলটি ডাউনলোড করুন।  
  • ডাউনলোড করা ফাইলটি ডাবল ক্লিক করে ইনস্টল করুন। (ইনসটল করার আগে অভ্র চালু আছে কিনা দেখে নিন, চালু না থাকলে চালু করে নিন)
  • এবার অভ্রর আইকনের উপর ক্লিক করে "select keyboard layout" থেকে "ARABIC_AVRO" লে আউট টি সিলেক্ট করে দিন। 
ব্যস কাজ শেষ, এখন অভ্রতে আগে যেভাবে ফোনেটিক ভাবে বাংলা লেখতেন, সেভাবে ফোনেটিক আরবী লিখতে পারবেন।


যদি আপনার কম্পিউটারে অভ্র না থাকে তাহলে এ পদ্ধতিটি কাজ করবে না, অবশ্য বাংলা লেখার জন্য অভ্রর চেয়ে ভালো কোন সফট আমার জানামতে নেই, তাই আপনি বাংলার জন্য হলেও অভ্র ডাউনলোড করে ইনসটল করতে পারেন. ডাউনলোড লিংকঃ http://www.omicronlab.com/avro-keyboard-download.html 



দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ
এটা একদম সহজ, যদি আপনি মাঝেমধ্যে টুকটাক আরবী লেখার প্রয়োজনবোধ করেন তাহলে এই পদ্ধতিটি আপনার জন্য।
  • এখান থেকে এরাবিক প্যাড সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।
  • এটা পোর্টেবল তাই ইন্সটল করার দরকার নেই, শুধু ডাবল ক্লিক করে ওপেন করুন
  • এটা নোট প্যাডের মত ওপেন হবে, ভিতরে যাই লিখবেন সেটাই ফোনেটিক ভাবে আরবী হয়ে যাবে :) আপনি শুধু সেগুলো কপি করে যেখানে ইচ্ছা ব্যবহার করবেন।



ফোনেটিক কাকে বলে সেটা যদি না জানেন, ফোনেটিক হল আপনি ইংরেজিতে যে শব্দটা লিখবেন আরবীতে সেটার উচ্চারন হিসেবে শব্দ লেখা হবে। যেমন আপনি লিখলেন "kaif ant" এটা আরবীতে হয়ে যাবে "كىف انت " বাংলায় যদি লিখতেন তাহলে হত "কাইফ আন্‌ত" !
অবশ্য ইংরেজি কোন অক্ষরে আরবী কোন অক্ষরের উচ্চারন হয় সেটা আগে জানতে হবে, লিখতে লিখতেই যেনে যাবেন। অবশ্য এই সফটগুলোতে এসব লেখাই থাকে। 




আরবীতো লেখা হল, এবার বোনাস হিসেবে কিছু ওয়েবসাইটের লিংক দেই... :) 

আমি প্রযুক্তির সাথে থাকতে পছন্দ করি, সাধারন ব্লগগুলোতে না ঘুরে প্রযুক্তিব্লগ গুলোতেই বেশি ঘুরি। তো একবার চিন্তা করলাম ইংরেজিতে এত টেকনোলজি ব্লগ, বাংলায় এত টেকনোলজি ব্লগ তাহলে তো আরবীতেও অবশ্যই টেক ব্লগ থাকবে... আর আমি আরবী টেক ব্লগ গুলোতেই যদি সময় কাটাই তাহলে "ল্যাটিন" আরবীর সাথেও অভ্যস্ত হতে পারব। তাই খোজা শুরু করলাম আরবী ব্লগ, কিন্তু কি আশ্চর্য। কোন ব্লগই খুঁজে পেলাম না... ! আসলে আরবীতে আমি এতই কাঁচা যে গুগলে সার্চ করে কোনটা সাধারন ব্লগ আর কোনটা টেক ব্লগ সেটা বুঝতেই পারিনি ...

যাই হোক, অবশেষে কয়েকটি টেক ব্লগ পেয়েই গেলাম,  হয়তো অনেকেই পছন্দ করবে না, কিন্তু কি আর করার ...

www.tech-echo.com
www.techof.net/ar
www.digitalqatar.qa


তাহলে আজকের মত বিদায়, এখন আবার দরসে যেতে হবে... খোদা হাফেজ! 

শিরোনামহীন (কি শিরোনাম দিবো খুঁজে পাই না ! )

সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৪
লিখেছেনঃ Rabiul Islam
একটা সময় ছিলো যখন অমুসলিমরা ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানতো না, শুধু মুসলমানদের আখলাক ও চরিত্র দেখে ইসলাম গ্রহণ করতো। তারা বলতো, এমন আদর্শ চরিত্রের মানুষ যারা তাদের ধর্ম মিথ্যা হতে পারে না। ইসলামের ইতিহাসে ব্যক্তিৃ পর্যায়ে যেমন তেমনি জাতীয় পর্যায়েও এর বহু নযির রয়েছে।
পক্ষান্তরে বর্তমান কালের অবস্থা এই যে, ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্য কিতাবের অভাব নেই এবং অভাব নেই যুক্তির মাধ্যমে ইসলামকে তুলে ধরার মানুষের। ইসলামের বিরুদ্ধে অমুসলিম চিন্তানায়কদের উত্থাপিত সকল অভিযোগ খন্ডন করে এত কিছু এখন পর্যন্ত লেখা হয়েছে যে, নতুন করে কিছু আর লেখার নেই। কিন্তু একজন অমুসলিম যখন ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে মুগ্ধ হয় তখন সে অবাক হয়ে যে প্রশ্নটি করে তা হলো, এমন সুন্দর ইসলাম মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে নেই কেন? তখন আমাদের বলার মত কোন জবাব থাকে না। যা বলা হয় তাতে প্রশ্নকারীর মন আশ্বস্ত হয় না।


আদীব হুজুর

আমরা এক কাফেলা...

বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০১৪
লিখেছেনঃ Rabiul Islam

মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ (দা.বা.)





চৌদ্দশ বছরের আমরা এক কাফেলা
ইলমের ঈমানের আমরা এক কাফেলা
আমাদের পরিচয় শোনো।

আমরা আলোর ইশারা, নূরের ফোয়ারা
মহাকালের অন্ধকারে রৌশন সিতারা
আমাদের পরিচয় শোনো।

আমরা সত্যের অভিসারী, উম্মার অতন্দ্রপ্রহরী
যুগে যুগে শত দুর্যোগে আমরা পথের দিশারী
আমাদের পরিচয় শোনো।
শোকর আল্লাহর গর্ব নয় কোন।

ইলমের তালিব মোরা, নবীর ওয়ারিস মোরা
জীবন মোদের ধন্য।

আমরা অন্য, আমরা ভিন্ন, আমরা অনন্য
আমরা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ আমাদের জন্য।
জীবন মোদের ধন্য।

হেরার অভিযাত্রী, আমরা সুফফার অনুসারী
পাথেয় কলম-কালি, নির্জন রাতের আহাজারি
ইলমে নবী, আমলে নবী আমাদের সাধনা
বুকে ইশকে নবী, মুখে, ‘ওয়াবিহী হাদ্দাছানা’
ইবনে আব্বাস, ইবনে মাসউদ, আবু হুরায়রা
নবী-পরশে ধন্য যারা, আমাদের পরিচয় তারা
নেই কোন পরিচয় অন্য।

মাদানী গুলশানের আমরা পুষ্প, আমরা সৌরভ
সত্যের ডঙ্কা, বাতিলের শঙ্কা, ঈমানের গৌরব
জীর্ণ, শীর্ণ, রিক্ত, নিঃস্ব, তবু আমরা ধনী
ফকীরির মাঝে আমীরি শান শুধু আমরা জানি।
‘আত্বা, সালিম, রাবী‘আ, ছাওরী, যুহরী, যোরারা
সাহাবা-পরশে ধন্য যারা আমাদের পরিচয় তারা
নেই কোন পরিচয় অন্য।

ক্ষুধা, অনাহার, যন্ত্রণা, নবী জীবনে পাবো সান্ত্বনা
কতদিন বেঁধেছেন পাথর, সয়েছেন কত লাঞ্ছনা
সেই পথে চলা-বন্ধু! আমাদের জীবন-অঙ্গীকার
সে পথের যত যিল্লতি, তা আমাদের অহংকার।
মালিক, শাফেয়ী, আহমদ, হানীফা, এই যে ধারা
উম্মাহর ইমাম যারা, আমাদের পরিচয় তারা
নেই কোন পরিচয় অন্য।

শিখবো, শেখাবো-‘খায়রুকুম মান তা‘আল্লামা’
মীরাছ-ইলমী খাযানা, লা-দীনার, লা-দিরহামা,
নাই বা চিনুক যামানা, কিছু তাতে যায় আসে না
মাখলূকাতের দু‘আ, ফিরেশতা বিছায় নূরের ডানা
আসকালানী, বাকিল্লানী, মারগিনানী, এই যে ধারা
ইলমের শহীদ যারা, আমাদের পরিচয় তারা
নেই কোন পরিচয় অন্য।

আমরা ডুবুরী, জ্ঞান-সাগরের মুক্তো-মণি তুলে আনি
দেখো ইতিহাস, তুচ্ছ কত রাজমুকুটের হাতছানি
ইবনে বতুতা, ইবনে খালদুন, ইবনে সিনা, ফারাবী
আমরা হবো যুগের রাজী, গাযালী, কুরতুবি, ত্বাহাবী
ইলমের নীরব সাধনার চির বহমান এই যে ধারা 
আমাদের গর্ব তারা, আমাদের পরিচয় তারা
নেই কোন পরিচয় অন্য।

আমরা জানি তাইমিয়ার কলম, তরবারী, জুব্বাখানি
বালাকোট-শামেলী, শাহ শহীদ, গাঙ্গুহীর কোরবানী
আমরা জানি রেশমী রুমাল কাহিনী, মাল্টার জিন্দেগানী
কালো কালি আর লাল খুনে মাখামাখি শুধু আমরা জানি
ইলমের রোহবান, জিহাদের ফোরসান এই যে ধারা 
আমাদের গর্ব তারা, আমাদের পরিচয় তারা
নেই কোন পরিচয় অন্য।

সিলসিলা যুক্ত সাথে আল্লাহর ও রাসূলুল্লাহর 
কোন সরকার করিবে স্বীকার বলো কী দরকার?
জোনায়েদ, জিলানী, আলফেছানী, শাহ দেহলভী
মোহাজিরে মাক্কী, নানুতবী, কান্ধলবী, থানবী
সময়ের সান্ত্বনা যারা, যুগজিজ্ঞাসার জবাব যারা
আমাদের গর্ব তারা, আমাদের পরিচয় তারা
নেই কোন পরিচয় অন্য।

নবী-হাতে সুফ্ফার সত্তরজনে পিয়েছে দুধের পেয়ালা
আমরা তার ভাগিদার, আমাদের কাফেলা সেই কাফেলা
যুগের দুর্যোগে আজ যারা রাহবার আলী নাদাবীর মত
ইলমের গৌরব যত এখানে এই বাংলায় চিরশায়িত
আল্লাহর রহমতে মেহদীর ঝান্ডায় লড়বে যারা
আমাদের গর্ব তারা, আমাদের পরিচয় তারা
নেই কোন পরিচয় অন্য।


কিন্তু আজ! কোথা রাখি লাজ, ডুবিলো কি ভাগ্য-তারা!
একদিন আমরা গড়েছি কুরতুবা, খোরাসান, বোখারা
আমরা জ্বেলেছি জ্ঞান-আলো, কত জাতি উজ্জ্বল হলো
শিক্ষক কেন শিষ্য হলো, এ ঘর কেন আঁধার বলো?
ভুলেছি অতীত, কেটেছি শিকড়, আছে কি ভবিষ্যৎ?
কাফেলা হেজাজের তুর্কিস্তানের ধরেছি ভ্রান্তপথ
সালাফের পথে মুক্তি খালাফের, ইমাম মালিকের বাণী
রাসমে আজানে কোথা আজ রূহে বেলালীর সঞ্জীবনী
তাই এসো ভাই শপথ করি, আবার নিশি জাগি
আমরা ধরি সুফ্ফার জিন্দেগী, ইলমের তরে সর্বত্যাগী
সে যুগের মুসলিম বুখারী, এ যুগের মাদানী-কাশ্মীরী
এসো ভাই তাদের পথে চলি, তাদের মত জীবন গড়ি
অতীতের নমুনা একবার যদি ভাই জাগাতে পারি
দেখিবে দুনিয়া করিবে চুম্বন আমাদের পায়ে পড়ি।


একটি নির্বাচনী লিফলেট এবং কিছু কথা...

মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০১৪
লিখেছেনঃ Rabiul Islam
আসসালামু আলাইকুম !

এটি চলমান উপজেলা নির্বাচনের একটি নির্বাচনী লিফলেটের অংশ বিশেষ যেখানে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম' লিখা আছে যা কোরআন শরীফের একটি আয়াত। নির্বাচনের সময় এরকম বহু লিফলেট সারা দেশের পথে ঘাটে পড়ে থাকতে দেখা যায় যা অনেক সময় আমরা মনের অজান্তেই পা দিয়ে মাড়িয়ে চলে যাচ্ছি নিজ গন্তব্য স্হলে । সকল অভিযোগ মহান আল্লাহ-পাকের দরবারে।

এ বিষয়ে আমরা কি করতে পারি????

নির্বাচন কালীন সময়ে এ ধরনের পোস্টার বা লিফলেটের মত কাগজ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখলে তা সংরক্ষণ করার প্রয়োজন আছে কি না একটু ভেবে দেখবেন কি??? অন্তত রাস্তায় পরে থাকা পোস্টার বা লিফলেট থেকে "বিসমিল্লাহ" বা "আল্লাহ"
 শব্দগুলো তো আমরা হেফাজত করতে পারি।


মনে হতে পারে আমলটি খুব ছোট। কিন্তু ভাই, না।উল্লেখিত আয়াতটিতে আছে আল্লাহ-পাকের তিনটি মহান নাম যথাঃ আল্লাহ, রহমান , রাহীম । মহান আল্লাহ-পাক আমাদেরকে তার নামের ইজ্জত , সম্মান , মহব্বত করার তৌফিক দান করুন। আমীন । আমীন।



প্রাসংগিক একটি ঘটনাঃ
প্রখ্যাত বুজুর্গ বিশরে হাফী রহঃ জীবনের প্রথম দিকে আল্লাহ-পাকের হুকুম মানা থেকে গাফেল ছিলেন, মদ পানে অভ্যস্ত ছিলেন।একদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। লক্ষ করলেন এক টুকরো কাগজ রাস্তায় পড়ে আছে যাতে আল্লাহ-পাকের নাম আছে।তিনি কাগজটি হাতে নিলেন, সংরক্ষণ করলেন।আল্লাহ-পাক এ আমলে এতটাই সন্তুষ্ট হলেন যে সাথে সাথে তার জযব(গায়েবী আকর্ষণ,পরকালের প্রতি মন আকৃষ্ট হওয়া) নছীব হল।মুহূর্তের মধ্যে সমস্ত পাপাচার থেকে তওবা করলেন এবং পরবতীতে পৃথিবী খ্যাত ওলি আল্লাহ হয়েছেন যাকে মুসলিম উম্মা শত শত বছর যাবত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে।

আল্লাহ-পাক আমাদেরকে মহান পূর্বসুরীদের অনুস্মরন করার তৌফিক দান করুণ।
কপি বা শেয়ার করে অপর মুসলমানের ঘুমন্ত অনুভুতিকে জাগ্রত করতে সহায়তা করুন ।


#মূল লেখক এবং উৎসাহদানকারীঃ রবিউল আকরাম ভাই

এই কবিতাটি অনেক আগে আব্বুর কাছে শুনেছিলাম...

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০১৪
লিখেছেনঃ Rabiul Islam

কাজের ছেলে


যোগিন্দ্রনাথ সরকার


দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল, চিনি-পাতা দৈ, দু’টা পাকা বেল, সরিষার তেল, ডিমভরা কৈ। পথে হেঁটে চলি, মনে মনে বলি, পাছে হয় ভুল; ভুল যদি হয়, মা তবে নিশ্চয়, ছিঁড়ে দেবে চুল। দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল, চিনি-পাতা দৈ, দু’টা পাকা বেল, সরিষার তেল, ডিমভরা কৈ। বাহবা বাহবা – ভোলা ভুতো হাবা খেলিছে তো বেশ! দেখিব খেলাতে, কে হারে কে জেতে, কেনা হলে শেষ। দাদখানি চাল, মুসুরির ডাল, চিনি-পাতা দৈ, ডিম-ভরা বেল, দু’টা পাকা তেল, সরিষার কৈ।‘ ওই তো ওখানে ঘুরি ধরে টানে, ঘোষদের ননী; আমি যদি পাই, তা হলে উড়াই আকাশে এখনি! দাদখানি তেল, ডিম-ভরা বেল, দুটা পাকা দৈ, সরিষার চাল, চিনি-পাতা ডাল, মুসুরির কৈ! এসেছি দোকানে-কিনি এই খানে, যত কিছু পাই; মা যাহা বলেছে, ঠিক মনে আছে, তাতে ভুল নাই! দাদখানি বেল, মুসুরির তেল, সরিষার কৈ, চিনি-পাতা চাল, দুটা পাকা ডাল, ডিম ভরা দৈ।



মুসলিম জাতী আজ বিধ্বস্ত, দুর্বল এবং মাজলুম। শত্রুর মোকাবেলায় তাদের নেই কোন জোড়, নেই কোন শক্তি এবং নেই কোন উপায় অন্তরায়। ঈমানের বলে বলীয়ান হওয়া আজ যেন ইতিহাস! সাড়া জাহান কাঁপিয়েছিল যে জাতী, সে কিনা আজ  নিজেই কম্পমান!

আজ মুসলিম জাতীকে নয়, বরং তাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে, তাদের চিন্তা চেতনাকে গোমরাহ করে দেয়া হচ্ছে, তাদের ভাষা, সাহিত্য, কৃষ্টি; সব, সবই যেন তুলার মত জ্বলতে শুরু করেছে। নাহ্‌, পুড়তে শুরু করেছে।

তরবারির শক্তি আর জিহাদী জযবা দিয়ে কি থামানো যাবে এই ধ্বংসযজ্ঞ ? শত্রুর মোকাবেলায় দাঁড়ানো যাবে কি দৃঢ় পায়ে ?
যাবে, কিন্তু সেটা কোন সমাধান হবে না। সাময়িক নিরাময় হবে, তবে আবার জ্বলে উঠবে...

তাই আজ তরবারিও নয়, বন্দুকও নয়। বরং জামানার সেরা অস্ত্র কলম নিয়ে মাঠে নামতে হবে। কলমের বিপরিতে কলম দিয়ে রুখে দাড়াতে হবে। চিন্তার বিরুদ্ধে চিন্তা দিয়ে, আর চেতনার মোকাবেলায় চেতনা দিয়েই যুদ্ধ করতে হবে।

তরবারি দিয়ে তরবারির বিপক্ষে লড়া যায়, কিন্তু কলমের বিপক্ষে লড়া যায় না। কিন্তু কলম দিয়ে যেমন কলমের বিরুদ্ধে লড়া যায় তেমনি তরবারিকেও কুপকাত করে ফেলা যায়...



এতক্ষন যে লেখাগুলো পড়লেন সেগুলো ভুলে যান, সামনে আমার বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিষয়ঃ "ধারালো তরবারির চেয়ে শানিত কলমের প্রয়োজন অনেক বেশি " আর আমি এর পক্ষে!

তাই বিষয়টা নিয়ে একটু লেখার চেষ্টা করলাম, কিন্তু এতক্ষন লেখার পর বুঝলাম; এগুলো সব "অখাদ্য"ই হল...!!! 
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

কিছু লেখা

Copyright © রবিউল ইসলাম - Powered by Blogger