Rabiul Islam
বুধবার, ২১ মে, ২০১৪
আসসালামু আলাইকুম!
বাইতুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাদরাসায় আমার দুই বছরের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা হল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা। এর আগে আমি কখনো বিতর্ক প্রতিযোগিতা করিনি এবং আশা করি আগামীতেও করব না, কারণ এই দুই বছরে বিতর্ক থেকে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি, তাহলো বিতর্কের মাধ্যমে কোন সমস্যার সমাধান হয় না, বা বলতে পারেন বিতর্কের আসলে বাস্তবে কোন ফলাফল থাকেনা!
আমার প্রথম বিতর্কের বিষয় ছিলঃ বর্তমানে তালিবুল ইলমদের জন্য ইংরেজি শেখা আবশ্যক!, আমি ছিলাম বিপক্ষে!
এমনিতেই আমি মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলতে ভয় পাই। বিতর্কে অংশগ্রহন করতেই চাইনি কিন্তু ছেলেগুলো জোর করে নাম দিয়ে দিয়েছে ! তার উপর আবার আমাকে দলনেতা বানিয়ে দেয়া হয়েছে, কিযে ভয় পেয়েছিলাম! নিজের যুক্তিগুলোই ঠিক করতে পারিনা আবার বাকীদেরকে যুক্তি বলে দিতে হবে, কি ভয়ংকর। অবশ্য পরে বুঝতে পেরেছিলাম, অন্যদেরকে যুক্তি বলার কোন প্রয়োজন ছিলনা :)
কিরকম বিতর্ক দিয়েছি সেটা জানিনা, কিন্তু ফলাফলটা ছিল অদ্ভুত+মজাদার, কারণ আমার দলই জিতেছিল আর আমি হয়েছিলাম নাম্বার ওয়ান "......" "......" !!! আলহামদু লিল্লাহ। এখানে অবশ্য মিযান ভাইয়ের কথা না বললেই নয়, তিনি সৌদিতে থেকেই আমাকে একেবারে তিন পৃষ্ঠা যুক্তি লিখে দিয়েছেন... জাঝাকাল্লাহ মিযান ভাই!
আমার দ্বিতীয় বিতর্কের বিষয় ছিলঃ আধুনিক বিজ্ঞান মানুষের জন্য রহমত! এটাতেও আমি ছিলাম বিপক্ষে!
পক্ষ দলের দলনেতা ছিলেন মাদরাসার বিখ্যাত বিতার্কিক "জুনায়েদ ভাই"। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে এবার আমাদের খবর আছে, আমাদের দলনেতা মুহাম্মদ ভাই খুব চেষ্টা করেছিলেন দল জেতানোর কিন্তু আমরা সফল হতে পারিনি। পক্ষ দলের "বাশ" খাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোন কাজ ছিলনা :) তবে ফলাফলটা যথারীতি অদ্ভুত, আমি হয়েছি প্রথম!
তৃতীয় বিতর্ক ছিলঃ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েকম করা সম্ভব! এটাতেও আমি বিপক্ষে ছিলাম (অদ্ভুত!) আর ছিলাম দলনেতা ;) ফলাফল আমরা " জয়ী + :) " (সবকিছু কি বলতে হয়!)
চতুর্থ বিতর্কঃ বর্তমান ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে কায়েম করা সম্ভব! বিপক্ষেই ছিলাম, আসলে আমার একটা ধারনা হয়ে গিয়েছিল যে বিপক্ষে থাকলেই জয় লাভ করা যায়, সে ধারণাকে ভেংগে দিয়ে আমাদেরকে কঠিন ভাবে "বাশান্নিত" করে গেল পক্ষ দলের দলনেতা নাজমুল ভাই। থাক এব্যাপারে আর কথা নাই বা বললাম!
পঞ্চম বিতর্কঃ ধারালো তরবারির চেয়ে শানিত কলমের অধিক প্রয়োজন! এই প্রথম আমি ছিলাম পক্ষে, কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হল যাকেই এ বিষয়টার ব্যপারে জিজ্ঞেস করি সেই এর বিপক্ষে মত দেয়! তরবারি ছাড়া যেন কেউ কিছুই বোঝে না! সেদিন হাফলার সকল বিষয়ই ছিল জিহাদ কেন্দ্রিক! বক্তৃতা- তারানা ইত্যাদি সবই যেন তালিবুল ইলমদের জিহাদি মনোভাবকে আরো জাগিয়ে তুলেছিল। অনেকে তো এটা নিশ্চিত ছিলো যে এবার কলম হেরে যাবে, আমরাও মোটামোটি শংকিত ছিলাম, কারণ সারাদিন জিহাদি জঝবায় উজ্জীবিত তালিবুল ইলমদেরকে যদি মঞ্চে দাঁড়িয়ে বুক ফুলিয়ে মুনশিয়ানার সাথে বলি যে তরবারির দরকার নাই, কলম হলেই যথেষ্ট! তাহলে আবার কিনা কি হয়ে যায়!!! আলহামদু লিল্লাহ, বিষয় যেটাই হোক, জয় কিন্তু আমাদেরই হয়েছে :)
ষষ্ট বিতর্ক যেটা আমার সর্বশেষ বিতর্ক ছিলঃ জাগতিক উন্নতির প্রতি উদাসীনতা মুসলমানদের বর্তমান দুর্দশার কারণ! আমি এটাতেও ছিলাম পক্ষে। বিষয়টা নিয়ে যথেষ্ট ভুগেছি, প্রথমে তো বিষয়টা বুঝতেই পারিনি। খালি খুজে বেড়াতাম মুসলমানরা আবার দূর্দশায় কিভাবে !? আল্লাহর রহমতে এটাতেও আমাদের বিজয় হয়েছে এবং আলহামদু লিল্লাহ বিজয় বেশেই আমার বিতর্কবেলা শেষ হয়েছে।
বাইতুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাদরাসায় আমার দুই বছরের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা হল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা। এর আগে আমি কখনো বিতর্ক প্রতিযোগিতা করিনি এবং আশা করি আগামীতেও করব না, কারণ এই দুই বছরে বিতর্ক থেকে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি, তাহলো বিতর্কের মাধ্যমে কোন সমস্যার সমাধান হয় না, বা বলতে পারেন বিতর্কের আসলে বাস্তবে কোন ফলাফল থাকেনা!
আমার প্রথম বিতর্কের বিষয় ছিলঃ বর্তমানে তালিবুল ইলমদের জন্য ইংরেজি শেখা আবশ্যক!, আমি ছিলাম বিপক্ষে!
এমনিতেই আমি মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলতে ভয় পাই। বিতর্কে অংশগ্রহন করতেই চাইনি কিন্তু ছেলেগুলো জোর করে নাম দিয়ে দিয়েছে ! তার উপর আবার আমাকে দলনেতা বানিয়ে দেয়া হয়েছে, কিযে ভয় পেয়েছিলাম! নিজের যুক্তিগুলোই ঠিক করতে পারিনা আবার বাকীদেরকে যুক্তি বলে দিতে হবে, কি ভয়ংকর। অবশ্য পরে বুঝতে পেরেছিলাম, অন্যদেরকে যুক্তি বলার কোন প্রয়োজন ছিলনা :)
কিরকম বিতর্ক দিয়েছি সেটা জানিনা, কিন্তু ফলাফলটা ছিল অদ্ভুত+মজাদার, কারণ আমার দলই জিতেছিল আর আমি হয়েছিলাম নাম্বার ওয়ান "......" "......" !!! আলহামদু লিল্লাহ। এখানে অবশ্য মিযান ভাইয়ের কথা না বললেই নয়, তিনি সৌদিতে থেকেই আমাকে একেবারে তিন পৃষ্ঠা যুক্তি লিখে দিয়েছেন... জাঝাকাল্লাহ মিযান ভাই!
আমার দ্বিতীয় বিতর্কের বিষয় ছিলঃ আধুনিক বিজ্ঞান মানুষের জন্য রহমত! এটাতেও আমি ছিলাম বিপক্ষে!
পক্ষ দলের দলনেতা ছিলেন মাদরাসার বিখ্যাত বিতার্কিক "জুনায়েদ ভাই"। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে এবার আমাদের খবর আছে, আমাদের দলনেতা মুহাম্মদ ভাই খুব চেষ্টা করেছিলেন দল জেতানোর কিন্তু আমরা সফল হতে পারিনি। পক্ষ দলের "বাশ" খাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোন কাজ ছিলনা :) তবে ফলাফলটা যথারীতি অদ্ভুত, আমি হয়েছি প্রথম!
তৃতীয় বিতর্ক ছিলঃ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েকম করা সম্ভব! এটাতেও আমি বিপক্ষে ছিলাম (অদ্ভুত!) আর ছিলাম দলনেতা ;) ফলাফল আমরা " জয়ী + :) " (সবকিছু কি বলতে হয়!)
চতুর্থ বিতর্কঃ বর্তমান ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে কায়েম করা সম্ভব! বিপক্ষেই ছিলাম, আসলে আমার একটা ধারনা হয়ে গিয়েছিল যে বিপক্ষে থাকলেই জয় লাভ করা যায়, সে ধারণাকে ভেংগে দিয়ে আমাদেরকে কঠিন ভাবে "বাশান্নিত" করে গেল পক্ষ দলের দলনেতা নাজমুল ভাই। থাক এব্যাপারে আর কথা নাই বা বললাম!
পঞ্চম বিতর্কঃ ধারালো তরবারির চেয়ে শানিত কলমের অধিক প্রয়োজন! এই প্রথম আমি ছিলাম পক্ষে, কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হল যাকেই এ বিষয়টার ব্যপারে জিজ্ঞেস করি সেই এর বিপক্ষে মত দেয়! তরবারি ছাড়া যেন কেউ কিছুই বোঝে না! সেদিন হাফলার সকল বিষয়ই ছিল জিহাদ কেন্দ্রিক! বক্তৃতা- তারানা ইত্যাদি সবই যেন তালিবুল ইলমদের জিহাদি মনোভাবকে আরো জাগিয়ে তুলেছিল। অনেকে তো এটা নিশ্চিত ছিলো যে এবার কলম হেরে যাবে, আমরাও মোটামোটি শংকিত ছিলাম, কারণ সারাদিন জিহাদি জঝবায় উজ্জীবিত তালিবুল ইলমদেরকে যদি মঞ্চে দাঁড়িয়ে বুক ফুলিয়ে মুনশিয়ানার সাথে বলি যে তরবারির দরকার নাই, কলম হলেই যথেষ্ট! তাহলে আবার কিনা কি হয়ে যায়!!! আলহামদু লিল্লাহ, বিষয় যেটাই হোক, জয় কিন্তু আমাদেরই হয়েছে :)
ষষ্ট বিতর্ক যেটা আমার সর্বশেষ বিতর্ক ছিলঃ জাগতিক উন্নতির প্রতি উদাসীনতা মুসলমানদের বর্তমান দুর্দশার কারণ! আমি এটাতেও ছিলাম পক্ষে। বিষয়টা নিয়ে যথেষ্ট ভুগেছি, প্রথমে তো বিষয়টা বুঝতেই পারিনি। খালি খুজে বেড়াতাম মুসলমানরা আবার দূর্দশায় কিভাবে !? আল্লাহর রহমতে এটাতেও আমাদের বিজয় হয়েছে এবং আলহামদু লিল্লাহ বিজয় বেশেই আমার বিতর্কবেলা শেষ হয়েছে।
কথাগুলো "আত্মপ্রশংসা" হয়ে গিয়েছে! অবশ্য আমিই যদি আমার ব্লগে আমর ঢোল না পিটাই তাহলে কে আমার ঢোল পেটাবে বলেন! তাই কিছু মনে করবেন না, আর আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ!
এই পোস্টের শিরোনাম দেখে হয়তো কোন "জ্ঞানী" ভাই সন্দেহে পড়ে ভাবছেন আরে, শিরোনামটা তো নকল নকল লাগছে !! আপনার সন্দেহ দূর করার জন্য বলছি, আসলেই শিরোনামটা নকল করা হয়েছে !!! তবে কোথা থেকে নকল হয়েছে সেটা কিন্তু সিক্রেট... ( যদি বুঝে ফেলেন তাহলে ভিন্ন কথা :P )